,

শান্তিপূর্ণভাবে কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পন্ন

ভোটারশূন্য কাশিয়ানী জিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র

লিয়াকত হোসেন (লিংকন): তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যদিয়ে সকাল ৮ টা থেকে একটানা বিকেল ৪ টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলে।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ সম্পাদক সুব্রত ঠাকুর হিল্টু (টেলিফোন) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে এ উপজেলায় কোন প্রার্থীকে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া হয়নি।

বিজয়ী চেয়ারম্যান টেলিফোন প্রতীকের প্রাপ্তভোট ২২ হাজার ৪১৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলম প্রতীকের মো. মোক্তার হোসেন পেয়েছেন ২১ হাজার ৭১৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো. খাজা নেওয়াজ (তালা প্রতীক) ৩৭ হাজার ৪৮৩ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (উড়োজাহাজ প্রতীক) জামিনুর রহমান জাপান পেয়েছেন ২৭ হাজার ৮৮৩ ভোট।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সোহাগী রহমান মুক্তা (পদ্মফুল প্রতীক) ২৯ হাজার ৩৯১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী (হাঁস প্রতীক) মোছা. তানজিলা বেগম পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৬৭ ভোট।

রোববার (২৪ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা পরিষদের ফলাফল কক্ষ থেকে এ ফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনকে ঘিরে কোথাও কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অনুকূল থাকায় রোদ উপেক্ষা করে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নারী-পুরুষ ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।

বেলা ১২ টায় কাশিয়ানী উপজেলা সদরের জিসি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভোটার উপস্থিত খুবই কম। ভোটার না থাকায় ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে।

উপজেলার রাজপাট ডিগ্রি কলেজের ভোট কেন্দ্রের ভোটার জাহিদুর রহমান জানান, ‘সুন্দর পরিবেশে শান্তিপূর্ণভাবে তিনি ভোট প্রয়োগ করেছেন। কোন ধরণের অনিয়ম তার চোখে পড়েনি।

উপজেলার ১১১ নং সাফলীডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটার বিজয় মল্লিক সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘কোন ধরণের অনিয়ম ছাড়াই উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এমন নির্বাচন উপহার দেয়ায় সত্যিকারে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ দিতে হয়।’

জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মোখলেসুর রহমান সরকার জানান, ‘কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।’

তিনি আরো জানান, নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরণের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছিল।

অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করতে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রেই ছিল কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ম্যাজিস্ট্রেট, র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছিল তৎপর।

এই বিভাগের আরও খবর